জনপ্রিয়তায় নিরিখে পতন মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা ফেসবুকের। শেষ দুই ত্রৈমাসিকে প্রায় ১০ লক্ষ ব্যবহারকারীকে হারিয়েছে ফেসবুক। দীর্ঘ ১৭ বছর পরে এই প্রথমবার ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এই পরিমাণে কমল। আর তার আঁচ এসে পড়ল অভিভাবক সংস্থা ‘মেটা’র-ও।
ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমায় মেটার লভ্যাংশ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। ধাক্কা খেয়েছে এই সংস্থার বিজ্ঞাপন ব্যবসাও। বুধবার সংস্থার তরফে এই ঘোষণা করা হয়। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, শেয়ার বাজারেও তাদের শেয়ার ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
মেটা নিজের শেষ ত্রৈমাসিকে ১০.৩ বিলিয়ন (এক হাজার ৩০ কোটি) মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় আট শতাংশ কম। মেটার পাশাপাশি করোনা আবহে জনপ্রিয়তা লাভ করা নেটফ্লিক্সের বাজারদরও কমেছে।
বিশ্বব্যাপী রোজ প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাই ১০ লক্ষ ব্যবহারকারীকে হারানো, সংখ্যার কাছে নগণ্য মনে হলেও আদপে তা নয় বলেই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ১০ লক্ষ ব্যবহারকারী বিজ্ঞাপন ব্যবসার ক্ষতিসাধন করেছে বলেও মত মেটা-র।
কোভিডকালে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের ফেসবুক ব্যাবহারের ক্ষেত্রে অনীহা এবং ভারতে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলির ডেটা প্যাকের দাম বৃদ্ধিকেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে মনে করেছেন ফেসবুকের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ডেভ ওয়েইনার।
ডেভ বলেন, ‘‘বাজারে একই ধরনের বাকি প্রতিযোগী সংস্থাগুলি তরুণ প্রজন্মের কাছে ফেসবুক সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে।’’
ফেসবুক বারবার নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে টিকটক-এর কথা উল্লেখ করেছে। বিভিন্ন দেশে টিকটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করার ফলে তাদের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে বলেও দাবি ফেসবুকের।
এই হতাশাজনক ফলাফলের জন্য মেটা, গ্রাহক এবং বিজ্ঞাপন দাতাদের মধ্যে রেষারেষি এবং সঠিক সরবরাহ শৃঙ্খলের অভাবকেও দায়ী করেছে।
তথ্য সূত্র: আনন্দবাজার
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।